শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে বেশ কয়েকটি বাড়িতে চিরকুটের সংগে লাগিয়ে দরজায় দরজায় রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। তবে এই টাকা কে বা কারা রেখে গেছেন তা জানা যায়নি। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন তৈরি হয়েছে। রাতের আঁধারে রেখে যাওয়া চিরকুট ও টাকা সকালে দরজা খুলে পেয়ে হতবাক বাড়ির লোকজন।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পৌর এলাকার সুখাতি ভাটিয়াটারী গ্রামে। কেউ রসিকতা করে এই কাজ করেছেন না-কি অন্য কোনো কারণ আছে এর পেছনে তা নিয়ে এলাকায় চলছে আলোচনা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিন জানান, কথাটি আমার কানেও এসেছে। কে বা কারা এসব কাজ করেছে তা বোধগম্য নয়।
পৌরসভা এলাকার সুখাতি ভাটিয়াটারী গ্রামের আমিনুর রহমানের ছেলে হাসানুর রহমান জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাতের খাওয়া শেষে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। আধাঘন্টা পর হঠাৎ বাড়িতে মানুষের পায়ের শব্দ পেয়ে উঠে পড়ি। দরজা খোলার শব্দে একজনকে ছুটে বের হয়ে যেতে দেখি। কিছুক্ষণ পিছু নিয়েও তাকে হারিয়ে ফেলি। পরে ফিরে এসে দেখি দরজায় একটি চিরকুট পড়ে আছে। তার সংগে ১০০ টাকার একটি নোট স্টাপলার দিয়ে আটকানো। চিরকুটে লেখা ‘এই টাকাটা ক্ষতি করেছি মাফ করে দিবেন।’
পরে খোঁজ নিয়ে দেখি আরও ৪ জনের বাড়িতে এমনভাবে টাকা ও চিরকুট লিখে গেছে। এরমধ্যে একই এলাকার আবু বকর-এর ছেলে আব্দুল বারেক-এর ঘরের দরজায় ১০টাকা, ঈসমাইল-এর ছেলে আব্দুস ছাত্তার-এর ঘরের দরজায় ৫০ টাকা, মৃত: শমসের আলীর ছেলে সাইদুর-এর ঘরের দরজায় ৩০ টাকা এবং ছফর আলী’র ছেলে মজনু মিয়া’র ঘরের দরজায় ১০০টাকা রেখে গেছে তারা।
ঘটনার খবর আশেপাশে ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে উৎসুক জনতা ভীড় জমায় সেখানে। এটি কার কাণ্ড তাই নিয়ে চলে জল্পনা-কল্পনা। তবে পাঁচ জনের কেউই মনে করতে পারেননি এই ধরণের টাকার ক্ষতি তাঁদের কারও দ্বারা হয়েছে কি-না।
এই ব্যাপারে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নবিউল হাসান জানান, এমন ঘটনা আমার জানা নেই। এই বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।